
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তি। আমরা মনে করি, ১৯৪৭ এবং তার পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষ আজাদির জন্য উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, তার অন্যতম পরিণতি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিলাম, কিন্তু সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে একটি তাবেদারি সরকার কায়েম করার চেষ্টা করেছে।
নাহিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা আমরা ধারণ করি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কোন আকাঙ্ক্ষা? মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা? নাকি ১৯৭২ সালে মুজিববাদের আকাঙ্ক্ষা? মুক্তিযুদ্ধের নামে যদি মুজিববাদের চার নীতির আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, তা আমরা কঠোরভাবে প্রত্যাঘাত করব।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল, যা ছিল মুজিববাদী আকাঙ্ক্ষা, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তরুণরা গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম। ফলে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা সেটিকে আমরা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বয়ান থেকে বের করে নতুনভাবে বাংলাদেশের ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি।
সাতচল্লিশ সালের আজাদির লড়াই, একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ছিল, সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার, বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা। বাংলাদেশে আমরা সে লড়াই শুরু করেছি। এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর আগ্রাসনবিরোধী কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। মেজর জলিল-ভাসানীরা সেই লড়াই শুরু করেছিলেন, আমরা সে লড়াইকে ধারণ করি। আজকে আমরা জাতীয় পাঁচ নেতার ছবিকে জাতির সামনে রেখেছি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের এই স্থপতিরা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, এনসিপি সেই আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে এগিয়ে যাবে।
প্রগতিটিভি / এফএম